সীমান্ত সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতেই এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। সীমান্তে সামরিক সংঘাত বন্ধ করে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই হুমকির পরেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি সামনে এলো।
তবে চুক্তির বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি লুটনিক। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আপনি জানেন বর্তমানে আমরা কি করছি? আমরা কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছি। এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় উপস্থিত থাকা কম্বোডিয়ার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনও কোনও তথ্য পাননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী পিচাই চুনহাভাজিরা বলেছেন, এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত জানাতে পারবে তার দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ক্ষেত্রে ৩৬ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হয় প্রতিবেশী দুই দেশ। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ আমদানি গন্তব্য। শুক্রবার থেকেই ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক কার্যকর করার কথা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি শুল্ক কমাতে দেশ দুটি বেশ তাড়াহুড়ো করেছে। কেননা তাদের প্রতিবেশি দুই দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের শুল্কহার ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন কম্বোডিয়ার এমন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা শুল্কহার ১৫ শতাংশ করার আবেদন জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ট্রাম্পের কাছে সহজ শুল্কের আবেদন জানিয়েছেন। যেন তারা দেশটির অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে পারে। ট্রাম্প তাদের এই আবেদন বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। সূত্র: দ্য নিউইর্য়ক টাইমস, রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
বিডি প্রতিদিন/একেএ