দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত বৃহস্পতিবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর আগে একাধিকবার সমন জারির পরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এবার প্রসিকিউটররা তাকে জোর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইউন ও তার পত্নী সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কেওন হির তদন্তকারী বিশেষ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ইউন গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। তার সামরিক আইন ঘোষণার বিরুদ্ধে আইন প্রণেতাদের ভোট দেওয়া ঠেকাতে সংসদে সেনা পাঠিয়েছিলেন তিনি। ইউন তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ফেলে দেন।
এ ছাড়া ইউন সুক ইওলই দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়।
সংসদ নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ তদন্তকারী প্রসিকিউটররা ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিলেন। কিন্তু তিনি হাজির হননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হওয়ার কারণে হিসেবে তার আইনজীবীরা স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেন।
পরোয়ানা জারির পর এখন প্রসিকিউটররা ইউনের বর্তমান আটককেন্দ্রেই প্রবেশ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করাতে বাধ্য করতে পারবেন সেনা শাসনের চেষ্টা ছাড়া অন্যান্য মামলাতেও ইউন ও তার স্ত্রী আইনি সমস্যার মুখে পড়ছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক