ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরপর ইহুদিবাদী ভূখণ্ডজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ইরানের পালটা হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।
এরই মধ্যে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় জেরুজালেমে সাইরেন বাজতে দেখা গেছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তেহেরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইসরায়েল এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রেকর্ডকৃত এক ভিডিও বার্তায় জানান, “আমরা ইসরায়েলের ইতিহাসের একটি নির্ণায়ক মুহূর্তে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক বোমা নির্মাণে যুক্ত বিজ্ঞানী, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং নাতাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং এই অভিযান যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।”
নাতাঞ্জ শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই স্থাপনার কাছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, “দেশের শীর্ষ নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বৈঠক বসেছেন।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ইরানের ‘ডজনখানেক’ পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের কাছে এমন পরিমাণে উপাদান আছে, যা দিয়ে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরাইল রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর পূর্ব প্রতিরোধমূলক হামলার পর, ইসরায়েল ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা অবধারিত।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইসরায়েল এককভাবে এ হামলা চালিয়েছে। কারণ তারা (ইসরায়েল) মনে করে এই হামলা তাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।
এক বিবৃতিতে রুবিও আরও বলেন, “আজ রাতেই ইসরায়েল একতরফাভাবে ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এই হামলায় জড়িত নই এবং আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হলো অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে জানাচ্ছি- ইরানের উচিত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বা কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করা।” সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ