আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কিছু সময়ের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ‘মে-ডে কল’ পাঠিয়েছিলেন অর্থাৎ এটিসিকে (Air Traffic Control) জরুরি বিপদসংকেত দেন। তবে সেই সংকেত পাঠানোর পর আর কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি শহরের মেঘানিনগর এলাকায় বসতবাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে এআই-১৭১ নামের এই ফ্লাইটটি। এটি মাত্র ৬২৫ ফুট উপরে উঠেছিল। হঠাৎ করেই সেটি দ্রুত নিচের দিকে নামতে শুরু করে এবং রানওয়ে ছাড়ার এক মিনিটের মধ্যেই এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ডিজিসিএ (DGCA) অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, জানায়— রানওয়ে ছাড়ার পরপরই পাইলট ‘মে-ডে কল’ করেন। এরপর অনেক চেষ্টা করেও বিমানের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। ফ্লাইটটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। উড়োজাহাজের সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
এই বিমানটি (ভিটি-এএনবি) সেদিনই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদ আসে। এরপর সেটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল।
‘মে-ডে কল’ কী?
‘মে-ডে কল’ হলো এক ধরনের জরুরি সংকেত, যা বিমানের পাইলট বিপদের সম্ভাবনা বুঝতে পারলে এটিসিকে রেডিওর মাধ্যমে জানান। এটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘m’aider’ থেকে, যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করুন।”
যখন বিমানে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি, ইঞ্জিন সমস্যা, খারাপ আবহাওয়া, অথবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তখন এই সংকেত পাঠানো হয়। তবে এটিসি বুঝে নেবে সেটি সত্যিই বিপদসংকেত, এজন্য পাইলটকে তিনবার বলতে হয়: ‘Mayday, Mayday, Mayday।’ তবে বিপদ যদি খুব গুরুতর না হয়, তবু সতর্কতা জানাতে চাইলে পাইলট ‘প্যান-প্যান’ সংকেত ব্যবহার করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল