লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়ায় ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। একই সময়ে আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকটি গ্রামেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সাল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট আহলে হাদিস জামে মসজিদ এবং বোতলা এলাকার মসজিদে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন তারা।
মুন্সিপাড়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কায়দে আজম জিন্নাহ বলেন, ‘বিশ্বের সব মুসলমান একই দিনে ঈদ উদযাপন করবে—এই বিশ্বাস থেকেই আমরা ২০১১ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে কদর, শবে মেরাজসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। আমরা কোরআন-হাদিসভিত্তিক আমল করি।’
ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস থেকে জানা যায়, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে মুসলিম উম্মাহ রোজা পালন করবে, সালাত আদায় করবে, ঈদ উদযাপন করবে এবং কোরবানি দেবে। আল্লাহ আমাদের এসব বুঝার তৌফিক দিন। আমি এই মাঠে এবার প্রথম ইমামতি করলাম। এর আগে কয়েকজন ইমাম ছিলেন। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আমরা প্রতিবছর ঈদ উদযাপন করি এবং এতে কোনো সমস্যা হয় না। কোরআন-হাদিসের আলোকে ঈদ উদযাপন করলে আনন্দ আরও বাড়ে।’
ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি রিপন আলী বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। পৃথিবী একটাই, রাসুল (সা.) একজন, তাই একই দিনে ঈদ হওয়াই উচিত।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই এসব এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় হয়ে আসছে। নামাজের সময় মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ