ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল বলে যে- আমরা নির্বাচনের কথা বললে অনেকেই সমালোচনা করে। কেন সমালোচনা করবে? কারণ হল আমরা এ ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছিলাম, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে এতো ত্যাগ-এতো রক্ত দিয়েছিলাম, একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। অতীতে আমরা দেখেছি ১৯৭১ এর পরে অনেকেই ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু কেউই জনগণের কথা রাখতে পারেনি, কেউই জনগণের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করেনি। অতীতে যারাই সরকারে এসেছিল, নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। দলীয় স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।
বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে রামগঞ্জ সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অতীতের সরকার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কিন্তু জনগণের মাঝে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অতীতে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি হয়েছে। যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে, তারা শোসকে পরিণত হয়েছে, দুঃশাসন চালিয়েছে, দুর্নীতি চালিয়েছে, কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়েছে ও নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে। যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই শুধু স্বাধীনতার সুফল ভোগ করেছে। যারা ক্ষমতার বাহিরে ছিল দেশের নাগরিক তারা যেন একটি পরাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করেছে। বাংলাদেশের মানুষ অতীতের রাজনীতিতে আর ফিরতে চায় না। তারা অতীতের দুঃশাসন ও কর্তৃত্ববাদী সরকার চায় না।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী জাকির হোসাইন পাটওয়ারী।
ইসলামী আন্দোলনের রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, মুজাহিদ কমিটির রেজাউল করিম সেলিম আটিয়া, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, সহ সভাপতি মুহাম্মদ মহি উদ্দিন, সেক্রেটারী জহির উদ্দিন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, রামগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী আব্দুর রজিম, শ্রমিক আন্দোলনের উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন জমাদ্দার, যুব আন্দোলনের উপজেলা শাখার হাবিবুর রহমান ও ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি আল আমিন প্রমুখ
বিডি প্রতিদিন/হিমেল