গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিতে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৪ জনে, যার মধ্যে ৮৯ জনই শিশু।
জাতিসংঘ-সমর্থিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় বর্তমানে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। যা তারা দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশে কোনো বাধা দিচ্ছে না। তবে এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় মিত্র দেশসমূহ, জাতিসংঘ এবং গাজায় সক্রিয় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
এ পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। এটি গত তিন মাসের মধ্যে তার প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। সফরের আগেই কাতারে চলমান গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই তাদের প্রতিনিধিদল প্রত্যাহার করে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে, হামাস আলোচনায় সদিচ্ছা প্রদর্শন করেনি।
এর মধ্যেই বুধবার সকালে দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রগুলো। তারা দাবি করে, ত্রাণকেন্দ্র খোলার আগ মুহূর্তে লোকজন ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ইসরায়েলি ট্যাংক থেকে গুলি চালানো হয়।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল