কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী কৃষকরা তাদের শস্য ঘরে তুলছেন না। করোনা মহামারী খাদ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে পঁচনশীল খাদ্য যেমন প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও দুধ নষ্ট হচ্ছে। বেলজিয়ামে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন আলু ফেলে দিতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতে স্ট্রবেরি খাওয়ানো হচ্ছে গরুকে। কারণ স্থানীয়ভাবে ভারতে স্ট্রবেরির চাহিদা নেই। এটি উৎপাদন করা হতো পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালন গ্যালন দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম গতকাল মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে, করোনার কারণে আগামী মাসগুলোতে খাদ্য সঙ্কটে ভুগবে পশ্চিম আফ্রিকার ৪৩ মিলিয়ন মানুষ। জুন থেকে আগস্টে খাদ্যে অভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে পারে ৫ বছরের নিচে ১২ মিলিয়ন শিশু। গত বছর এ পরিমাণ ছিল ৮.২ মিলিয়ন।
এর আগে গত ১ মে জাতিসংঘ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, গত মৌসুমে চাষাবাদ ভালো হলেও করোনা মহামারীর কারণে ২০০ কোটি মানুষ নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত খাবার থেকে বঞ্চিত। যদিও গত চার বছর ধরেই ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সূত্র: সিএনবিসি, ইউএন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা