রাজধানীর প্রথম করোনা ক্লাস্টার টোলারবাগ আর বাসাবোয় সংক্রমণের গতি কমলেও অন্য এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে কয়েকটি এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে।
টোলারবাগ মডেল অনুকরণীয় হতে পারে মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিস্তার কমাতে যত বেশি সম্ভব পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এ এলাকার জনগণরা লকডাউন মেনে চলেছেন। আইইডিসিআর সেখানকার প্রত্যেকটা ঘরের খবর নিয়েছে।
রাজধানীর অন্য সব এলাকার চিত্র ততটা আশাব্যঞ্জক নয়। দেশে মোট আক্রান্তের ৫৮ ভাগেরও বেশি ঢাকার বাসিন্দা। টোলারবাগ আর বাসাবোয় যেখানে আক্রান্ত ১৯ আর ৪৩, সেখানে শতাধিক সংক্রমিত রয়েছে ৩টি এলাকায়। আরও ১০ এলাকায় শনাক্তের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
একজন বলেন, কেউ লকডাউন মানছে না, সতর্কতা মানছে না। যে যার মতো চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে সংক্রমণের লাগাম টানতে মানুষের সতর্কতার পাশাপাশি জোর দিতে হবে আক্রান্ত শনাক্তের ওপর।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এখন ঢাকার শহরের সুবিধাটা হলো ক্লাস্টারে সক্রমণটা আছে। এই ছোট ছোট এলাকা সক্রমণ বাড়তে বাড়তে বড় হয়ে গেলে বিপদ হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী শনাক্ত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিকল্প যেটা হতে পারতো সেটি হলো লকডাউনকে আরও স্ট্রিক করা। সেখানে সেটি আরও শিথিল হচ্ছে।
লকডাউনে শিথিলতা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: সময় টিভি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন