চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি সুপার ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যান তিনি। নিহত কিশোর সাইমুন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার একটি মাদরাসার ছাত্র। তার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চরবাকিলা গ্রামে।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ রিফাত (১৯) ও ইমরান হোসেন (২৩) নামে দুজনকে আটক করেছে। পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম শনিবার থানায় মামলাটি করেন। মামলার বিষয় নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার মকিবাদে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন সাইমুন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা পরিবহন দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকার কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেককে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আটজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সিটি বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারের পাশে বন্ধন পরিবহনের কাউন্টার বসিয়ে বাস চালু করেন সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব উল্লাহ তপন। দুপুর ২টায় বিএনপি নেতা জাকির খানের কর্মী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী হামলা করে। এ সময় বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারে থাকা বাস মালিক রুহুল আমিনকে পেটান হামলাকারীরা। তখন দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে।