চলতি বছর চুয়াডাঙ্গায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকও অর্জিত হয়নি। মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে চাষিরা পাট আবাদ করতে পারেননি। যেসব জমিতে আবাদ হয়েছিল তাতেও ফলন হয়েছে অনেক কম। কৃষকরা বলছেন, প্রাকৃতির বৈরী প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা থেকে হারিয়ে যেতে পারে পাট চাষ। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার চুয়াডাঙ্গায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে মাত্র ৭ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টনের মতো পাট উৎপাদন হতে পারে।
চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতেই অনাবৃষ্টি ও খরার কবলে পড়েন এ অঞ্চলের কৃষক। অনেকেই পাটবীজ বপন করতে পারেননি। যেসব জমিতে পাট হয়েছে খরতাপের কারণে যথাযথভাবে গাছ বেড়ে উঠতে পারেনি। ফলে পাটের ফলন আশানুরূপ হয়নি। কৃষক আক্কাস আলী বলেন, প্রকৃতির বৈরী আচরণে পাটের আবাদে কৃষকের খরচ বেড়েছে। লেগেছে বাড়তি সেচ ও সার। পাট জাগ দিতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব কারণে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।
কৃষকরা বলছেন, ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমিতে ১২-১৪ মণ পাট হওয়ার কথা। চুয়াডাঙ্গায় যে ফলন হয়েছে তাতে বিঘাপ্রতি ৭-৮ মণের বেশি হচ্ছে না। আগের বছরগুলোতেও পাট পচানোর মৌসুমে অনাবৃষ্টি ছিল। দিন দিন জেলার জলাশয়ের পরিমাণ কমছে। ফলে প্রতি বছর হ্রাস পাচ্ছে আবাদ। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, প্রকৃতিগত কারণে চুয়াডাঙ্গায় এ বছর পাট আবাদ কম হয়েছে। মৌসুমে কম বৃষ্টির কারণে কৃষক পাট চাষ করতে পারেননি। চলতি বছর পাটের দাম বাড়লে আগামীতে নতুন নতুন কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হবেন।