প্রচণ্ড হিমেল বাতাসের সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে নাটোরের চলনবিলের সিংড়া, গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে আজ বুধবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একটানা বিরামহীন বৃষ্টিতে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দফায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় কারণে শীতের তীব্রতায় জুবুথুবু অবস্থা।
জানা যায়, মাঘের শুরুতেও এ এলাকায় স্বাভাবিক শীত বিরাজ করছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তীব্রতা বেড়ে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরতে থাকে। এতে শীতের তীব্রতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এতে এ এলাকার জনসাধারণের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বৃষ্টিতে ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না। কেউ কেউ ছাতা নিয়ে বাইরে বের হতে দেখা গেলেও সারাদিনের টিপটিপ বৃষ্টিতে জনজীবনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি আর প্রচণ্ড শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন দিনমজুর, রিক্সাচালকসহ শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, স্বর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাপমাত্রা হু হু করে নীচে নেমে যাওয়ায় শীতে কাতর হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গবাদিপশু ও পাখ-পাখালির। রাস্তাাঘাটে লোকজন ও যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। বনপাড়া-হাটিকুমরুল ও পাবনা-নাটোর মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে খুবই সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা না আসায় স্কুল-কলেজগুলো কার্যত বন্ধ রয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার পন্ডিত গ্রামের ভ্যান চালক আকবর হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হতে পারছি না। আমরা গরীব মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজলেও অসুখ হবে, আবার ভ্যান চালাতে না পারলেও অনাহারে থাকতে হবে।’
নাটোরের বড়াইগ্রাম হাসপাতালের আরএমও ডা. ডলি রাণী জানান, এ অসময়ের বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে ঠাণ্ডাজনিত রোগ ছড়াচ্ছে। গত দুদিন যাবৎ হাসপাতালে নিউমোনিয়া, স্বর্দি ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ