প্রথমে নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর মুশফিকুর রহিম। দুজনে সেঞ্চুরি করেছেন গতকাল। টাইগারদের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুলের ক্যারিয়ার আট বছরের। সাবেক অধিনায়ক মুশফিকের ক্যারিয়ার ২০ বছরের। দুজনে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রে ‘দুর্গনগরী’ গলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে দুই তারকা ক্রিকেটার জ্বলজ্বলে পারফরম্যান্স করেছেন। খেলেছেন তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস। দুজনের জোড়া সেঞ্চুরিতে টেস্টের প্রথম দিনটিকে নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুলের অপরাজিত ১৩৬ ও মুশফিকের অপরাজিত ১০৫ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ২৯২ রান তুলে স্বস্তির দিন পার করেছে টাইগাররা।
৩৬ টেস্ট ক্যারিয়ারে নাজমুলের ষষ্ঠ এবং ৯৭ টেস্ট ক্যারিয়ারের মুশফিকের ১২তম সেঞ্চুরিতে টাইগাররা একটি রেকর্ডও গড়েছে। চতুর্থ উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। দুজনের ২৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের রেকর্ড ছিল ১৮০ রান। লিটন দাস ও মুমিনুল হক ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে এ জুটি গড়েছিলেন। চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি ২৬৬, মুমিনুল ও মুশফিকের। চতুর্থ উইকেটে ২০০ ঊর্ধ্ব রানের জুটি মোট ৩টি। দুটি জিম্বাবুয়ে এবং একটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২২ রানের আরও একটি জুটি রয়েছে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশ প্রথম খেলছে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নাজমুল বাহিনী গতকাল খেলতে নামে সহ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজকে ছাড়া। জ্বরের জন্য খেলেননি স্পিন এ অলরাউন্ডার। নাজমুল বাহিনী খেলছে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান এবং দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে নিয়ে। টস জিতে গলের শুষ্ক উইকেটে ব্যাটিং নেন নাজমুল। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পরে দল। সেখান থেকে নাজমুল ও মুমিনুল জুটি গড়ে দিন পার করেন হিমালয়সমান দৃঢ়তার ব্যাটিংয়ে। প্রথম সেশনটি যদি হয় স্বাগতিকদের। তাহলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনের পুরোটাই বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৯০ রান করেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ২০ ওভারে ৯২ রান করে বিনা উইকেটে। তৃতীয় সেশনে ৩২ ওভারে বিনা উইকেট ১১০ রান করে। নাজমুল ১৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ২৬০ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কায়। মুশফিক ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ১৮৬ বলে মাত্র ৫ চারে। মুশফিক সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৩ ইনিংস আগে ২০২৪ সালের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল ১৯১ রানের। এটি তার ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। তার চেয়ে বেশি ১৩টি সেঞ্চুরি মুমিনুলের। নাজমুল সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে। ২০২৩ সালে নভেম্বরে তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল ১০৫ রানের এবং অধিনায়ক হিসেবেও এটা প্রথম। গতকাল তিনি সেঞ্চুরি করেন ২০ ইনিংস পর।