ব্যবহারকারীর বয়স যাচাইয়ের দায়িত্ব এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে মার্কিন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব।
কোম্পানিটি বলেছে, মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে তারা বোঝার চেষ্টা করবে কোন কোন ব্যবহারকারীদের জন্য টিন অ্যাকাউন্ট দরকার। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ব্যবহারকারীর ওপর এ প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করবে তারা। এরপর ধাপে ধাপে সবার জন্য চালু হবে এ প্রযুক্তি।
টুলটি ব্যবহারকারীর কিছু আচরণ বিশ্লেষণ করে বয়স যাচাইয়ের কাজটি করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। যেমন- অ্যকাউন্টধারী কোন ধরনের ভিডিও খুঁজচ্ছেন, কী ধরনের ভিডিও দেখছেন ও অ্যাকাউন্টটি কতদিন ধরে ব্যবহার করছেন এমন সব বিষয় খতিয়ে দেখবে টুলটি।
ইউটিউব বলেছে, মেশিন লার্নিং যদি মনে করে এ অ্যাকাউন্ট টিন ব্যবহারকারীর তবে সেই অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে দেবে ইউটিউব। একইসঙ্গে টিন অ্যাকাউন্টের জন্য ‘ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং’ বা সুস্থ ডিজিটাল অভ্যাস টুল চালু করবে ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা যোগ করবে, যাতে তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতা নিরাপদ হয়।
২০২১ সালে ‘সুপারভাইজড টিন অ্যাকাউন্ট’ চালুর পর থেকে টিন ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়িয়ে চলেছে ইউটিউব। কোম্পানিটি বলেছে, মেশিন লার্নিং পদ্ধতিটি এরইমধ্যে ‘অন্যান্য দেশে কিছু সময় ধরে ব্যবহার করছে তারা এবং সেখানে ভালোভাবে কাজ করছে এই টুল’।
এআই ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের আসল বয়স জানার চেষ্টা করছে ইউটিউবই এমন একমাত্র প্লাটফর্ম নয়। এই তালিকায় রয়েছে মেটাও। কারণ অনেক ব্যবহারকারীই নিজেদের বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তবে ব্যবহারকারীদের ওপরই এই ভুল শনাক্তের দায় দিতে চাইছে ইউটিউব।
অন্যদিকে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারে একইরকম এআই টুল চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মূল কোম্পানি মেটা। তবে এক্ষেত্রে এআই ভুল ধরলে সহজেই ব্যবহারকারী নিজের বয়সের তথ্য পরিবর্তন করে ঠিক করে নিতে পারেন। এজন্য মেটার বেলায় এত কঠিন প্রমাণ দিতে হয় না তাদের।
তথ্য সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ