তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়েছে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এখন শুল্কহার প্রায় সমান অথবা কিছুটা কম। এটি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর।’ গতকাল গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের (ক্রেতা) এখন আগের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের ভোগব্যয় কমে যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা ধাক্কা এবং মূল্য নিয়ে চাপ তৈরি হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ এ সমস্যা কাটিয়েও উঠতে পারবে। কেননা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে আমরা স্বাভাবিক অবস্থানেই আছি।’
চীন-ভিয়েতনামের অর্ডার বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে : নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীন ব্যতীত অন্য দেশগুলোর জন্য প্রায় সমান হারে শুল্ক নির্ধারণ করা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য এই শুল্ক ১৯ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রক্ষা পেয়েছে। ভবিষ্যতে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষ ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের বোঝাতে হবে যে, এই আমদানি শুল্ক আমদানিকারকদেরই বহন করতে হবে এবং পরিশেষে এটি চূড়ান্ত ভোক্তাকেই বহন করতে হবে। ফজলে শামীম এহসান বলেন, আমরা যদি বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারি, তবে ভবিষ্যতে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে রপ্তানি বাড়াতে নীতিগত সহায়তা, স্বল্পসুদে ঋণের সুবিধা ব্যবস্থা জরুরি। পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও শর্ত মোকাবিলা করে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।