বরিশালের মুলাদীতে ইমন মৃধা হত্যা মামলায় নিহতের বন্ধু মিজান বয়াতীকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক অলোক চৌধুরী গত রবিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্ত মিজান বয়াতি মুলাদীর চরকালেখান ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ বয়াতির ছেলে।
একই এলাকার আজিজ মৃধার ছেলে ইমন মৃধাকে ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার পর নয়ভাঙ্গুনী নদীর তীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে মিজান বয়াতি। হত্যার পর লাশ গুম জন্য নয়াভাঙ্গুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত মিজান বয়াতি বর্তমানে কারান্তরীন।
পুলিশের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ইমন মৃধা তার বন্ধু মিজানকে ৫ হাজার টাকা ধার দেয়। ঘটনার দিন ধারের টাকা ফেরত চাইলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমনকে চাকু দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে তাকে নয়াভাঙ্গুলী নদীতে ফেলে দেয়া হয়। একই সময়ে মিজান বয়াতিরও হাত কেটে যায়। সে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ইমনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এদিকে ঘটনার ২দিন পর ২৮ আগস্ট নয়াভাঙ্গুলী নদীতে ইমন মৃধার লাশ ভেসে ওঠে। পরে ইমনের বাবা আজিজ মৃধা ঘাতক মিজান বয়াতীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিজান বয়াতীকে গ্রেফতার করলে সে ইমনকে কুপিয়ে হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন