সুস্থ থাকতে অনেকেই আজকাল গুগল কিংবা সামাজিক মাধ্যম থেকে খোঁজ করছেন স্বাস্থ্যকর খাবার ও উপাদানের। অনেকেই সেখান থেকেই জেনে নিচ্ছেন অলিভ অয়েলের উপকারিতা এবং সরিষা বা সাদা তেলের পরিবর্তে রান্নায় ব্যবহার করছেন এই তেল।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এবং এটি হার্ট ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এ ছাড়া এটি হজমে সহায়ক এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। তবে এই তেল যদি ভুলভাবে সংরক্ষণ বা ব্যবহার করা হয় তবে উপকারের বদলে হতে পারে ক্ষতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অলিভ অয়েলের প্রকৃত উপকার পেতে হলে এর ধরন ও সঠিক ব্যবহারের পদ্ধতি জানা জরুরি।
কোন ধরনের অলিভ অয়েল কিসে ব্যবহার করবেন?
বাজারে একাধিক ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। যেমন: এক্সট্রা ভার্জিন, ভার্জিন, রিফাইনড, পোমাস ইত্যাদি। পুষ্টিবিদদের মতে, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি এবং এটি সাধারণত সালাদে কাঁচা অবস্থায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ভার্জিন অলিভ অয়েলেও রান্না করা যায়, তবে তা হালকা ভাজার রান্নায় ভালো।
‘স্মোক পয়েন্ট’ বুঝে রান্নায় ব্যবহার করুন
তেল যে তাপমাত্রায় তার পুষ্টিগুণ হারায়, তাকে বলা হয় ‘স্মোক পয়েন্ট’। এক্সট্রা ভার্জিন এবং ভার্জিন অলিভ অয়েলের স্মোক পয়েন্ট ১৯০-২১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেখানে পোমাস অলিভ অয়েলের স্মোক পয়েন্ট প্রায় ২৩৮ ডিগ্রি। তাই ভাজাভুজির মতো উচ্চতাপে রান্নায় পোমাস অলিভ অয়েলই উপযুক্ত।
তেল সংরক্ষণের পদ্ধতি জরুরি
তেল সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তার গন্ধ ও পুষ্টিমূল্য কমে যায়। ভালো মানের অলিভ অয়েলের রং সোনালি এবং গন্ধ হয় তাজা অলিভের মতো। তেল ঘোলাটে হয়ে গেলে বুঝতে হবে তা আর তেমন কার্যকর নয়। অলিভ অয়েল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
১। অন্ধকার ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হবে, সূর্যের আলো থেকে দূরে।
২। কাচের বায়ুনিরোধক পাত্রে রাখা ভালো।
৩। বারবার খোলা হয় এমন পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।
৪। ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই।
৫। সবশেষে, প্যাকেট বা বোতলের গায়ে উল্লেখ করা মেয়াদ দেখে তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ