টানা চার মাস ধরে চলা সবজির বাজারের উত্তাপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে ভোক্তাদের মুখে হাসি ফেরেনি। এখনো অনেক সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। এতে অস্বস্তিতে আছে সাধারণ মানুষ। কিছু কিছু সবজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখনো মলিন মুখে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি।
গতকাল মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-৩০ টাকা কমেছে অনেক সবজির দাম। তবে মাছ-মুরগির দাম এখনো আগের মতো। ডিমও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ সামান্য বেড়েছে। এ ছাড়া সামনে শীতকাল। শীতের সবজি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসা শুরু করবে। তখন দাম আরও কমবে।
বাজারে এখন প্রতি কেজি গোলবেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহেও ১৬০-১৭০ টাকা ছিল। এ ছাড়া পটোল ৬০, করলা ৬০, ঢ্যাঁড়শ ৬০, শসা ৬০, লাউ ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০-৫০, ফুলকপি ৮০, বাঁধাকপি ১০০, টমেটো ১২০-১৫০, বরবটি ৭০-৮০, আলু ৩০ এবং কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহ থেকে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। পিঁয়াজের দাম এখনো কমেনি। বাজারে মানভেদে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে দেশি আদা ১৪০-১৬০, চায়না আদা ২০০, রসুন দেশি ১৩০, ভারতীয় আদা ১৯০, দেশি মসুর ডাল ১৬০, মুগ ডাল ১৮০, ছোলা ১১০ এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির দাম ৩০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া এক ডজন ফার্মের ডিম ১৪৫, হাঁসের ডিম ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ ও সোনালি কক মুরগির ডিমের হালি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৭৮০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে রুই ৩০০-৩৫০, কাতলা ৪০০, পাঙাশ ২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, চিংড়ি ৭০০-৭৫০, মাঝারি কই ২৮০-৩০০, দেশি শিং ৭০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার, আর ছোট আকারের (৪০০-৫০০ গ্রাম) ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।