এখনো শুরু হয়নি আমন ধান কাটার মৌসুম। তারপরও বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় চলছে ধান কাটা মাড়াইয়ের উৎসব। জানা গেল এখন চলছে আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তোলার মৌসুম। এই ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। গৃহস্থ বাড়ির গোলা ভরতে শুরু করেছে নতুন জাতের ধানে। তাই কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ঘরে ঘরে বইছে নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ। প্রতিটি গৃহস্থ ও কৃষক পরিবারে বেড়েছে নারীদের কর্মব্যস্ততা। গ্রামীণ জীবনে বইছে নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর-পায়েস, পিঠা-পুলি বানিয়ে অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করবেন নারীরা। জানা যায়, বগুড়া জেলার সদর, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, শেরপুর, ধুনট, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, শিবগঞ্জ, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি ও কাহালু উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বাজারদর ভালো থাকায় এতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
অল্প সময়ে ঘরে তোলা যায় বলে আগাম জাতের আমন চাষ এখন কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ আমান কাটার পর একই জমিতে আলু, সরিষা, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে অতিরিক্ত আয় করার আশা করছেন তারা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বদলাষন গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন জানান, চার বিঘা জমিতে আগাম ব্রি-৭৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। ধান কাটা শেষ করে ওই জমিতে আলু, সরিষা ও পিঁয়াজ চাষ করা হবে। এক মৌসুমে একাধিক ফসল ফলিয়ে বাড়তি লাভের আশা করছেন তিনি।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ফরিদ জানান, গত বছরে ১ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ মেট্রিকটন। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকায় এ বছর আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে।