এই দৃশ্যে ছিল ভালোবাসা, বেদনা আর রক্তের সম্পর্কের অনন্ত সত্য। ইলিয়াস কাঞ্চনের সংবেদনশীল অভিনয় ও শাবানার নিখুঁত অভিব্যক্তি গানটিকে দিয়েছে এক চিরন্তন আবেগের রূপ। আজও যখন গানটি বাজে, মনে পড়ে সেই সোনালি দিনের সিনেমা, যেখানে গান মানেই গল্প, গল্প মানেই হৃদয়ের ছোঁয়া
ঢাকাই চলচ্চিত্র ‘দুর্জয়’-এর ‘হাওয়াই ওড়ে’ গানটি শুধু সুর আর দৃশ্য নয়, এটি ছিল অভিনয়, অনুভূতি আর আত্মীয়তার এক গভীর মিলনমেলা। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও চিত্রনায়িকা শাবানা এই গানে অভিনয় করেছেন এমনভাবে, যেখানে প্রতিটি দৃষ্টি, প্রতিটি আবেগ বলেছিল হাজারো না বলা কথা। গানের পটভূমি ছিল এক জেলখানার দৃশ্য, যেখানে ভাগ্যের খেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভাইবোন এক দীর্ঘ সময় পর একে অপরকে চিনে ফেলে, গানের সুরেই জেগে ওঠে রক্তের টান, ভালোবাসার স্পন্দন। দর্শক শুধু গান দেখেননি, একটি আত্মীয়তার অলৌকিক পুনর্মিলন দেখেছিল। তাদের চোখে অশ্রু এসে পড়েছিল। কারণ, এই দৃশ্যে ছিল ভালোবাসা, বেদনা আর রক্তের সম্পর্কের অনন্ত সত্য। ইলিয়াস কাঞ্চনের সংবেদনশীল অভিনয় ও শাবানার নিখুঁত অভিব্যক্তি গানটিকে দিয়েছে এক চিরন্তন আবেগের রূপ। আজও যখন গানটি বাজে, দর্শকরা থমকে যায়, মনে পড়ে সেই সোনালি দিনের বাংলা সিনেমা, যেখানে গান মানেই গল্প, গল্প মানেই হৃদয়ের ছোঁয়া।
’দুর্জয়’ ছবির গল্পে ইলিয়াস কাঞ্চন ও শাবানার চরিত্র একটি আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে, যেখানে একটি অন্যায়ের প্রতিকার করতে শাবানার সংগ্রাম এবং ইলিয়াস কাঞ্চনের ভূমিকা দেখা যায়। এই চলচ্চিত্রটিতে সামাজিক বৈষম্য, অবিচার এবং ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
চলচ্চিত্রের মূল কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একটি আইনি লড়াইকে কেন্দ্র করে, যেখানে শাবানার চরিত্রটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইলিয়াস কাঞ্চন এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যার ফলস্বরূপ তাঁকে জেলখানাতেও যেতে হয়।