চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী তহমিনাকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আকাশের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ আদেশ দেন। দন্ডিত আসামি আকাশকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মো. আকাশের সাথে ২০১৫ সালের শেষের দিকে সদর উপজেলার মোহাম্মদজুমা গ্রামের সবদ আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তহমিনাকে মারধর শুরু করে আকাশ। যৌতুক না পেয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে তহমিনাদের বাড়িতে অবস্থানকালে আকাশ তার স্ত্রী তহমিনাকে গলা কেটে হত্যা করে এবং রাতেই ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন তহমিনার পিতা সবদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় গিয়ে তার মেয়ে তহমিনার স্বামী মো. আকাশকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের দাবিতে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পরদিনই গ্রামবাসী আকাশকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই মো. মাসুদ পারভেজ ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আসামির নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী পরীক্ষা করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার মামলার একমাত্র আসামি মো. আকাশের বিরুদ্ধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার