বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই। প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাইরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন এবং জেলার বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবের বাইরে থাকায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীরা হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াও যেসব রোগী মৃত্যুবরণ করছেন তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করছেন না। ফলে সরকারি-বেসরকারি হিসাবে পার্থক্য দেখা দিচ্ছে।
এদিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন নিয়োগ পাওয়া ১০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৪ জন মেডিকেল অফিসার ও ১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ১০ জন নার্সের মধ্যে ৪ জন ২২ জুন পর্যন্ত কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের স্বজনদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি রোগীর সঙ্গে ৩-৪ জন স্বজন ভিড় করছেন। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, দ্রুত অতিরিক্ত জনবল ও ব্যবস্থাপনা জোরদার না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক