শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রথম ধাপের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নেত্রকোনার ৯টি উপজেলায় চলছে প্রচার প্রচারণা।
জেলার পাহাড়ী সীমান্ত দূর্গাপুরের আদিবাসী এলাকাগুলোতে নির্বাচনী সরগরম না থাকলেও ভোটাররা বেশ সচেতন। তারা প্রয়োগ করতে চান তাদের ভোটাধিকার। যদিও কেউ কেউ অভিযোগ করেন নির্বাচন শেষে আর প্রার্থীদের দেখা মেলে না।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে শুধুমাত্র পূর্বধলায় কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও অন্যান্য উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে প্রচার প্রচারণা।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হামলা ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রার্থী ও প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি সভা হয়েছে। এতে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী এলাকায় মিছিল শোডাউন করছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন প্রান্তে হাটবাজারে গিয়ে চাইছেন ভোট। উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। পিছিয়ে নেই নারী প্রার্থীরাও। এরই মধ্যে নেত্রকোনা সদর ও কেন্দুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে জেলার নয়টি উপজেলার মোট ৫৬৪টি ভোট কেন্দ্রের ভোটার রয়েছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫ জন।
এর মধ্যে নারী ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৮ জন ও ৭ লাখ ৫৫ হাজার ২১৭ জন পুরুষ। জেলার ৯টি উপজেলায় ৭৯টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভা রয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে পূর্বধলায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করেত সকলেই একাট্টা। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মোতাহসিম।
বিডি প্রতিদিন/কালাম