চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এদিকে আজ শুক্রবার সকালে শহরের পুরাতন বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অনেককেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে দেখা গেছে। আর এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের মূল্য প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় পুরাতন বাজার কদমতলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একতা শষ্য ভান্ডারের মালিককে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগে ৩০হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত চলে যাবার পর আবারও পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পেয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫০ টাকা পাল্লা। কিন্তু দুপুরের পর থেকে তা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ২২০ টাকা পাল্লায়। অকই অবস্থা আলুর দামেও। গতকাল প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ১৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও চাল ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ৩’শ টাকা, চিনি ও সোয়াবিন তেল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২-৫ টাকা, ডাল ৫-৭ টাকা, রসুন ও আদা প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১৫-২০টাকা।
অন্যদিকে সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারাও অতিরিক্ত পণ্য কিনছেন। ফলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন জানান, পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে শনিবার সকাল হতে বাজারে অবস্থান করবে ভ্রাম্যমান আদালত এবং কোন অনিয়ম পেলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল