পটুয়াখালীর জেলার বাউফল পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় খুশি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক। গতকাল বুধবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের দেয়া নিস্পত্তি রায়ে এই জটিলতা কাটে। এখন আর নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন বাধা নেই বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার নির্বাচন ২০১২ সালের ২২ মে এবং নাজিরপুর, দাশপাড়া, মদনপুরা ও বাউফল ইউনিয়নের নির্বাচন ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাউফল পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নিত করতে গিয়ে পৌরসভা সংলগ্ন ওই চারটি ইউনিয়ন থেকে কিছু অংশ কেটে পৌরসভার সাথে অর্ন্তভূক্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাউফল পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নিত করে গেজেট প্রকাশ করেন।
গেজেট প্রকাশের পর ওই চারটি ইউনিয়নের ছয় ব্যক্তি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে গেজেটের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করেন। উচ্চ আদালত দাসপাড়া ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের করা রিটটি শুনানির জন্য রেখে অন্যান্য রিটগুলো খারিজ করে দেন। এতোদিনে আদালত থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বাউফল পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করতে পারেননি।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চে খলিলুর রহমানের রিটটির শুনানি শেষে সংশ্লিষ্টদের পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোর পুণঃবিন্যাস পূর্বক নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার আদেশ দিয়ে রিটটির নিস্পত্তি করেন।
বাউফল পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক জানান, দুষ্টচক্ররা দীর্ঘদিন মামলা করে পৌরসভা ও চার ইউনিয়নের নির্বাচনকে স্থগিত রেখেছে। আমাদের বাউফলের নেতা আ.স.ম ফিরোজ এমপি মহোদয়ের নেতৃত্বে আমি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা এই মামলার মোকাবেলা রিটের মাধ্যমে হাইকোর্টে করেছি। তিনটি মামলার রায় নির্বাচনের পক্ষে আদেশ দিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস শুরুর আগে সর্বশেষ মামলাটি করেছে, সেটার রায় আমরা নির্বাচনের পক্ষেই পেয়েছি। নির্বাচনে এখন কোন বাধা নেই। এখন যাতে প্রশাসন নির্বাচন দেয় এটা আমাদের দাবি, পৌরসভা বাসীর দাবি, চার ইউনিয়নের মানুষের প্রাণের দাবি। জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে আমরা আইনি লড়াইতে মোকাবেলা করেছি। ইন শা আল্লাহ নির্বাচনের স্বপক্ষে এই রায় প্রদান করা হয়েছে এবং জনগণের দাবি নিশ্চিত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ