কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন জিআরপি কলোনিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত ড্রেনেজে ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাসায় বসবাসকারী এবং অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি উত্তোরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশন জিআরপি থানা সংলগ্ন চারটি কলোনিতে রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কলোনির পাশে রয়েছে কয়েকটি পুকুর। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পুকুরগুলো স্থানীয়দের কাছে লিজ দেয়ায় তারা মাছ চাষ করছেন। চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি পুকুর ভরাট হয়ে বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। লিজগ্রহীতারা পুকুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে পুকুর পাড়ে নেট জাল দিয়ে চাষ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে রাস্তা খোঁড়াখুড়িতে কালভার্ট ও ড্রেন ভেঙ্গে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। এতে কলোনির বাসা-বাড়ি ও অফিস কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় বসবাসরতদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জিআরপি কলোনির একাধিক নারী জানান, ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি জমে থাকে। বাথরুমের ময়লায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে নিরাপদ আবাসনের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খলিলুর রহমান জানান, সড়ক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কালভার্ট ও ড্রেনেজ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রেলওয়ের আইডব্লিউ বিভাগের দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, জিআরপি কলোনিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ডাক বিভাগে পানি সমস্যার কথা শুনেছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন