গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানা এলাকায় মার্বেল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক কিশোরকে হত্যার পাঁচ মাস পর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছেন, পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
গ্রেফতারকৃত আসামি রাসেল আহম্মেদ সোয়াদ (২১) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার টেকনগপাড়া এলাকার মো. সেলিম মিয়ার ছেলে।
নিহত কিশোরের নাম বকুল (১৪)। সে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার আবুল কালামের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে।
পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, নিহত বকুলের পিতা পেশায় রিক্সা চালক। মা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকায় চাকরি করেন। তারা গত বছরের ২৪ জুলাই কাজ শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে বড় ছেলে বকুলকে বাসায় এসে পায়নি। রাত গভীর হওয়ার পরও বকুল বাসায় ফিরে না আসায় আশপাশের বাসাসহ বাদীর নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে ২৫ জুলাই সকালে প্রতিবেশি মোসা. ফরিদা বেগম তাদের জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া পেয়ারা বাগান সাকিনস্থ বালুর মাঠ সংলগ্ন জনৈক মো: সিদ্দিকের পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরের ভেতরে ১৪/১৫ বছরের একটি ছেলের লাশ পড়ে আছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি দেখে তাদের ছেলে বকুলের লাশ বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বকুলের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিবিআইয়ের ওই কর্তকর্তা বলেন, মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত যাচাই করে রাসেল আহম্মেদ সোয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি হত্যার কারণ ও জড়িতদের নাম জানায়।
তিনি আরো জানান, সোয়াদকে গত ১০ জানুয়ারি নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে ২ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সোয়াদ স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেয়। এতে সে হত্যার কারণ, আর কারা জড়িত ও ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ