শেরপুরের নকলায় শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক নারীকে মামলার ১৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব। ওই নারী অভিযুক্তের নাম তাসলিমা। তছলিমাকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেফতারের সময় চট্টগ্রামের স্থানীয় র্যাব সহযোগিতা করছে।
গ্রেফতারকৃত মোছা. তাসলিমা খাতুন নকলা উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত তাসলিমা খাতুন আত্মীয়তার সুযোগে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর নকলা উপজেলার শালখা গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর দুইদিন পর জলিলের শিশু কন্যা আকলিমা খাতুন(৪)কে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাছলিমা জলিলের কাছে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি নকলা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঢাকা থেকে অপহৃত আকলিমাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তাসলিমা পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নকলা থানায় মামলা হয়। ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি মোছা. তাসলিমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৮ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
র্যাব-১৪, জামালপুরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুক্রবার শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম