বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সরিষা ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া মোত্তালিব হোসেনের অর্ধগলিত লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে লাশ অর্ধগলিত হওয়ার কারণে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সে ব্যাপারে ধারণা করতে পারছে না।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার সিংজানী সাগলাল মোড়ের পাশে গোয়ালিয়া মাঠে জনৈক মাহফুজের সরিষা ক্ষেত থেকে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের দুইদিন পর ওই যুবকের পরিচয় সনাক্ত হয়। ৪০ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম মোত্তালিব হোসেন। তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। মোত্তালিব কৃষিকাজ করতেন।
নিহতের চাচা আব্দুস সালাম জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার গঙ্গা নারায়নপুর এলাকার বকুল সরকারের কন্যা স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে মোত্তালিবের বিবাহ হয়। পরদিন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে রংপুর পীরগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মোত্তালিব। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ৭ দিন পর গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম উপজেলার সরিষা ক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম জানান, সরিষাক্ষেতে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ থাকার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সিআইডি, র্যাব-১২ বগুড়া, পিবিআই ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম তৎপর অনুসন্ধান শুরু করে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় বুড়ইল ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ চকরামপুর আধখোলা এলাকার লক্ষণ চন্দ্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই যুবকের লাশ পঁচে যাওয়ায় তাকে প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি। পরে আঙুলের ছাপের সাহায্যে মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করে বগুড়ার সিআইডি টিম। নিহতের আত্মীয় স্বজন এসে মোত্তালিবকে সনাক্ত করলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল