কলকাতার লোকজন একটা সময় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতো। কখন বাংলাদেশের নাটকগুলোর ক্যাসেট/সিডি পাইরেসি হয়ে কলকাতায় যাবে আর তারা সেই কপি কিনে পরিবারসহ বসে নাটক দেখবে। কলকাতার এক বন্ধুই আমাকে এই কথাটা বলেছিল।
এখনকার বাস্তবতা, ওদের সিরিয়াল আমরা সপরিবারে বসে বসে দেখি। তাদের তুলনায় দেশি চ্যানেলগুলোর দর্শক প্রিয়তা নাই বললেই চলে। কেন এমন হলো, দর্শক হিসেবে এই বিতর্কে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। তা সঠিক নাও হতে পারে। তাই ওই বিতর্কে গেলাম না।
টিভিতে নাটক দেখা ছেড়েই দিয়েছিলাম, ইউটিউবে পুরানো নাটকগুলো মাঝে মধ্যে দেখতাম। এখন হয়েছে আরেক যন্ত্রণা। ইউটিউবও দখল করে নিচ্ছে কিছু বস্তাপচা অশ্লীল নাটক (!)। টিভি নাটকে তাও কিছু মান ছিল, রিভিও হয়ে প্রচার হতো। অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে ইউটিউবে ইদানিং নাটকের নামে যা আসছে তা লজ্জাজনক। টুকরো টুকরো করে যা নজরে আসছে তা অশ্লীলতা ছাড়া আর কিছুই না। ইউটিউব একটি স্বাধীন জায়গা, এইখানে অশ্লীলতাকে পুঁজি করে “বেশি ভিউ”র নামে একটি প্রজন্মের চিন্তা-ভাবনা, রুচিকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে কি কোন পরিকল্পনা আছে কি না আমি জানি না। তবে এগুলো চলতে থাকলে সামনে ভয়ঙ্কর দিন আসছে নিশ্চিত।
সংস্কৃতির নামে যারা বা যেই গোষ্ঠী এসব করছেন, তাদের মনে রাখা উচিত আপনারা আমরা মারা গেলে জাতির খুব একটা ক্ষতি নাই, নতুন কেউ না কেউ আসবে। কিন্তু কালচার ধ্বংস করে ফেললে শত বছর ধরে এই জাতিকে পস্তাতে হবে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত