দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ড. হাসান রুহানি। প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল প্রার্থী এব্রাহিম রাইসিকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি।শুক্রবার দেশটিতে ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
রুহানি পেয়েছেন দুই কোটি ৩০ লাখ। মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ ছিলেন রুহানির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইব্রাহিম রাইসি ভোট পেয়েছেন ৩৮.৫ শতাংশ।
তিনি ইরানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থা এবং দেশটিতে ক্রমবর্ধমান বিদেশি প্রভাবের সমালোচনা করে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
২০১৩ সালে রুহানি প্রথমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে বেশ কোণঠাসা ছিল। কিন্তু তার সময়ে এ ব্যাপারে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়।
এর অগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৫০০ ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি পঞ্চম সিটি কাউন্সিল ও স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিয়েছে ইরানি জনগণ।
কোথাও কোথাও সময় ৫ ঘণ্টা বাড়িয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রায় ৪ কোটি ভোট কাস্ট হয়েছে। নির্বাচনী অফিস জানিয়েছে, প্রার্থী এবং অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধেই ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়।
ইরানের বাইরে বিশ্বের ১০২টি দেশে অবস্থানরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকরাও তাদের প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন। ওইসব দেশে ভোটগ্রহণের জন্য স্থাপন করা হয় ৩১০টি কেন্দ্র।
এবারের নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক উপপ্রধান ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আগা মিরসালিম এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা হাশেমি তাবা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ইরানের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জন।
বিডি প্রতিদিন/ ২০ মে ২০১৭/আরাফাত