ঈদুল আজহার পর নওগাঁয় গরুর চামড়ায় কিছুটা দাম মিললেও ছাগলের চামড়ার বাজারে তেমন কদর নেই। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ছাগলের চামড়া কিনে পড়েছেন লোকসানে। তবে চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে জেলায় প্রথমবারের মতো ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে।
জানা গেছে, এবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়ায় তেমন দাম নেই। নওগাঁ শহরের চামড়া পট্টিতে ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া এনেছি, বলেছে মাত্র ৫০ টাকা। এতে ভ্যান ভাড়াও ওঠে না।’
পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, মাদ্রাসাগুলো লবণ পাচ্ছে, কিন্তু তারা পাচ্ছেন না। ফলে নিজেদের খরচেই চামড়া সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এরপরও দেশের সম্পদ রক্ষায় তারা চামড়া সংগ্রহের কাজ করছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, ‘সরকারের নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলো বিনামূল্যে চামড়া ও লবণ পাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বিক্রিও বাকি করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান। সরকারের এই উদ্যোগটা বেশ ভালো। প্রতি বছর এমনটি করলে যেমন দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। আর বাকিও বন্ধ হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘চামড়া দেশের সম্পদ, একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। এ বছর জেলায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার পশু জবাই হয়েছে, যার সিংহভাগ গরু। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে চামড়া সংরক্ষণ ঠিকভাবে হয়।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ