ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মো. সবুর খানের পক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। নোটিসে বলা হয়, ১৯ মে ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইনে প্রকাশিত ‘জাদুর চেরাগে গড়া সাম্রাজ্য: সবুর খানের বিত্ত-বৈভবের অন্ধকার অধ্যায়: ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পরিবারতন্ত্র, ইচ্ছামতো লুটপাট, সরকারি জায়গা দখল’ শীর্ষক রিপোর্টটি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নোটিসটি গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে পৌঁছায়। নোটিসে পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়েছে।
নোটিসের প্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য:
রিপোর্টটি ১৯ মে নয়, ১৫ মে প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের পর ডেফোডিলের পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়। ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান খোকন এবং ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হাবিব কাজল বাংলাদেশ প্রতিদিনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। যেহেতু এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এর উদ্যোক্তা জনাব সবুর খানের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কর্তৃপক্ষের সুসম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু সৌজন্যবশত প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়।
এর ঠিক চারদিন পর, ১৯ মে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান খোকন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট করেন। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সবুর খানকে টেলিফোনে জানানো হয়। তখন তিনি ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন। বিস্তারিত শুনে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, পোস্টটি প্রত্যাহার করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অবহিত করবেন। কিন্তু ওই পোস্ট প্রত্যাহার করা হয়নি, এমনকি সবুর খান বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণও প্রদর্শন করেননি। তাই রিপোর্টটি ঐ দিনই পুনরায় অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।
আমাদের দ্ব্যর্থহীন বক্তব্য হলো, যথাযথ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সংক্ষুব্ধ আরও অনেকে সবুর খান ও ডেফোডিল সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করে এই পত্রিকা খুব শিগগিরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
তবে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ‘জাদুর চেরাগে গড়া সাম্রাজ্য: সবুর খানের বিত্ত-বৈভবের অন্ধকার অধ্যায়: ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পরিবারতন্ত্র, ইচ্ছামতো লুটপাট, সরকারি জায়গা দখল’ শীর্ষক রিপোর্টটি অনলাইন থেকে প্রত্যাহার করা হলো।