চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্রথমবারের মতো লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক—এই তিন ধাপের পরীক্ষায় প্রার্থী বাছাই করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে তিনটি বিভাগে এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।
তিনি বলেন, "শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তাই শিক্ষক নিয়োগে আমরা লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষার ধাপ যুক্ত করেছি।
উপাচার্য জানান, গত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন নিয়োগ নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আওতায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর না পেলে পরবর্তী ধাপে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র ভালো ফলাফল নয়, ভালো শিক্ষকত্বের দক্ষতা যাচাই করতেই এই পদ্ধতি।
উপাচার্য আরও বলেন, যদি এই প্রক্রিয়ায়ও যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেব।
নতুন পদ্ধতির প্রশংসা করে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আগে শুধু মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ হত, যা ছিল অপ্রশাসনিক ও বিতর্কিত। এখন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে স্বচ্ছতা এসেছে।
উল্লেখ্য, নতুন নীতিমালায় প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই)। ওইদিন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ইংরেজি বিভাগে চারজন প্রার্থী অংশ নেন। ২৫ জুলাই আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ২৯ জন এবং ২৬ জুলাই ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগে ৪২ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল