এবার নিজের জন্য ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে নামার ইঙ্গিত দিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। শুক্রবারই তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে সুইডেন। এরপরেই লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসের বারান্দায় বেরিয়ে হাত উপরে তুলে ন্যায়ের জন্য প্রায় যুদ্ধ ঘোষণার ধাঁচে অ্যাসাঞ্জ বলেন, এটা তার জয়।
কিন্তু এর ফলে গত ৫ বছর দূতাবাসে প্রায় বন্দীদশা, তার আগে জেল এবং গৃহবন্দী অবস্থায় টানা ৭ বছরের দুর্ভোগের বিচার হয় না। এখনও ন্যায়ের জন্য তার লড়াইয়ের পথ দীর্ঘ বলে জানিয়েছেন বছর ৪৫–এর এই অস্ট্রেলীয়।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনে অলাভজনক ওয়েবসাইট উইকিলিকস। তারপর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১২ সালে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। তারপরেই তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় সুইডেন।
অ্যাসাঞ্জ ব্রিটিশ পুলিসের চোখে ধুলে দিয়ে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ব্রিটেন সে সময় সাফ জানিয়ে দেয়, দূতাবাসের বাইরে পা রাখলেই গ্রেফতার হবেন অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডরকে অ্যাসাঞ্জ বলেছিলেন, তার আশঙ্কা, তাকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে পারে ব্রিটেন। যদিও আমেরিকা এ ব্যাপারে কখনওই বলেনি তারা অ্যাসাঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে সুইডেন বলেছে, তার অবর্তমানে এই গ্রেফতারির নির্দেশ অর্থহীন। ইকুয়েডরও ব্রিটেনকে আবেদন করেছে অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি দিতে। তার আইনজীবী বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ চাইছেন ইকুয়েডরেই চলে যেতে কারণ, তার ধারণা, সেখানেই তিনি নিরাপদ।
বিডি প্রতিদিন/ ২০ মে, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১২