কয়েক বছরের কর্মযজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধন, অাসামের ভূমিপূত্র ভূপেন হাজারিকার সম্মানে নামকরণ! এতকিছুর পরেও উদ্বোধনের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বড়সড় ‘গলদের’ অভিযোগ উঠল ভারতের দীর্ঘতম সেতুকে নিয়ে। উদ্বোধনের ঠিক তিন দিনের মাথায় সোমবার প্রথম দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ভূপেন হাজারিকা সেতু। গোটা সেতুর কোথাও আলোক ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গত ২৬ মে অসমের তিনসুকিয়া জেলার সাদিয়া থেকে অরুণাচলের ঢোলা পর্যন্ত দেশের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
একটি ভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, তার ঠিক তিন দিনের মাথায় সোমবার প্রথম দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভূপেন হাজারিকা সেতু। এই দুর্ঘটনায় ২৭ বছর বয়সি অরূপ বুরাগোহেঁ নামে এক যুবক তাঁর একটি হাত হারিয়েছেন। অন্য এক যুবকও আহত হন।
আর এই দুর্ঘটনার সূত্রেই দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে বড়সড় গলদের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, গোটা সেতুতে কোথাও আলো নেই। রাতের অন্ধকারে দেখতে না পেয়েই সেতুর উপরে তৈরি একটি অস্থায়ী নির্মাণে ধাক্কা মারে ওই দুই যুবকের মোটরবাইক। এই দুর্ঘটনার পরেই সেতুর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেতুর দু’পাশের স্থানীয় বাসিন্দারাও সেতুতে আলো লাগানোর দাবিতে সরব হয়েছেন।
ভারতের একটি ইংরেজি দৈনিককে স্থানীয় একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা যতীন বুরাগোহেঁ অভিযোগ করেন, ‘‘নতুন বাড়িতে থাকতে শুরু করার পরে তো কেউ আলো লাগায় না! আলোর অভাবে এই সেতুতে দুর্ঘটনা এবং নাশকতামূলক হামলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’
ব্রক্ষ্মপুত্রের উপর দিয়ে অসংখ্য প্রতিকূলতাকে জয় করে তৈরি হওয়া এই সেতুর নির্মাণকাজের কম প্রশংসা হয়নি গোটা দেশে। তা সত্ত্বেও কেন গোটা সেতুতে আলোর মতো প্রাথমিক ব্যবস্থাটুকু নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও, সেতু নির্মাণকারী সংস্থা বা সরকারি আধিকারিকদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/ ৩১ মে, ২০১৭/ ই জাহান