ইতিহাস গড়ে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ভারতীয় বংশোদ্ভুত চিকিৎসক লিও ভারাদকার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তিনিই হবেন বিশ্বের তরুণতম প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় শরণার্থী বাবা আর আইরিশ মায়ের সন্তান ভারাদকার এক বর্ণময় চরিত্র। ২২ বছর বয়সে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২৭ বছর বয়সে সাংসদ হন। ৩৬ বছর বয়স বয়সে প্রকাশ্যে স্বীকার করেন তিনি সমকামি।
ডাবলিনের বাসিন্দা ভারাদকার এখন সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী। ২০১১ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন তইসিচ এন্ডা কেন্নি। তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করতেই প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেন ভারাদকার।
আয়ারল্যান্ডে সমলিঙ্গে বিবাহের অধিকার চেয়ে গণভোট হয় ২০১৫ সালে। আইরিশ ন্যাশনাল রেডিওতে সমলিঙ্গে বিবাহ নিয়ে বক্তৃতা দেন ভারাদকর। ১৯৯৩ সালে সমকামিতাকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে সমলিঙ্গে বিবাহের অধিকার পেতে কেটে যায় আরও দু’দশক। ২০১৫ সালে সমলিঙ্গে বিবাহের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস হয় আয়ারল্যান্ডের সংসদে। আর সেই জয়ই ভারাদকরকে সিনে গল পার্টিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তোলে।
ষাটের দশকে মহারাষ্ট্রে ভারাদ গ্রাম থেকে আয়ারল্যান্ড যান লিও ভারাদকারের পরিবার। প্রখ্যাত ওড়িশি নৃত্যশিল্পী শুভদা ভারদকার লিওর তুতো বোন হন। শুভদা বলেছেন, লিও–র বাবা অশোক আইরিশ নার্স মিরিয়ামকে বিয়া করেন। ভারতের মহারাষ্ট্রে বাবা–মার সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমাঝেই আসেন লিও। মুম্বাইয়ের কেইএম হাসপাতালে লিও ইন্টার্নশিপ করেছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার সময় আইরিশ ক্রিকেট দলকে মুম্বাইতে এনেছিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১১