ভারতের কাশ্মীরে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগানদাতাদের খোঁজে তদন্তে নেমেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। শনিবার জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি ও হরিয়ানার প্রায় ২৩টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় এনআইএয়ের কর্মকর্তারা।
উপত্যকায় সহিংসতা তৈরি, নিরাপত্তা রক্ষীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, ব্যাঙ্ক লুটসহ একাধিক সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পিছনে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির গ্রেটার কৈলাস, চাঁদনি চক, পীতমপুর, বালিমারান, কারিবালিতেও অভিযান চালায় এনআইএ।
অভিযান চালানো হয় কট্টরপন্থী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি’র জামাই আতলাফ ফানটুশ, ব্যবসায়ী জাহুর ওয়াতালি, শাহিদুল ইসলাম, আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বাড়িতে। অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
জঙ্গিদের আর্থিক মদদ দেওয়ার অভিযোগে কট্টরপন্থী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছে এনআইএ। এর মধ্যে রয়েছে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, নাঈম খান, ফারুখ আহমেদ দার, গাজি জাভেদ বাবা। কয়েক দিন আগে এই নাঈম খানকে টিভি চ্যানেল ইন্ডিয়া টুডের স্টিং অপারেশেনে পাকিস্তানের কাছ থেকে রুপি নেওয়ার কথা স্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/৩ জুন, ২০১৭/ফারজানা