শত্রু পক্ষকে ঘায়েল করতে এবার থেকে মুখোমুখি যুদ্ধক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হবে নারীদেরকেও।
রবিবার দিল্লিতে এই কথা জানিয়েছেন ভারতের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। নারীদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা হল, প্রথমত নারীদের সেনা পুলিশ হিসেবে নিয়োগ করা এবং পরে তাদের পূর্ণ সময়ের জন্য সেনা সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীতে নেওয়া।
বিষয়টি নিয়ে রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সেনাপ্রধান জানান ‘নারীদেরকে সেনা হিসাবে দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি। খুব শিগগির আমি এটা শুরু করতে চলেছি। প্রথমে আমরা নারীদেরকে সেনাবাহিনীর পুলিশ বিভাগে নিয়ে কাজ শুরু করবো। এরপর তাদের নিয়ে আসা হবে সেনা সদস্য পদে’।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ের মতো কয়েকটি পশ্চিমা দেশে নারীদের সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের সুযোগ পেলেও ভারতে বিষয়টি বহু দিন ধরেই বিচারাধীন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারী কর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্রে বা মুখোমুখি লড়াইয়ে যান না। বরং চিকিৎসা, শিক্ষা, আইন, সিগনাল, প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত থাকেন। গত বছরেই পাইলট হিসেবে যোগ দিতেও নারীদের দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের প্রতিরক্ষায় কর্মরত নারীদের পক্ষ থেকে তাদের সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিষয়টিকে এতদিন তেমন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়নি সেনাবাহিনীর তরফে। এবার হয়তো সত্যিই সেনা সদস্য হিসেবে দেখা যাবে ভারতীয় নারীদের।