ম্যানচেস্টারের পর লন্ডন হামলার দায় নিল জঙ্গি সংগঠন আইএস। নিজেদের অনলাইন মুখপাত্র ‘আমাক’-এ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। তারা জানিয়েছে, ‘আইএস যোদ্ধারাই লন্ডনে হামলা ঘটিয়েছে।’
শনিবার রাতে লন্ডনে দু’টি হামলা চালায় ৩ জঙ্গি। রাত ১০টা নাগাদ প্রথমে লন্ডন ব্রিজে ৫ পথচারীকে পিষে দেয়। তারপর স্থানীয় বরো মার্কেটের এলিয়ট ক্যাফেতে ছুরি হাতে চড়াও হয়। সেখানে বেশ কয়েকজনকে ছুড়ি হাতে হামলা চালায় তারা। তবে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যেই তাদের হত্যা করতে সক্ষম হয় লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই হামলায় মোট ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৪৮ জন।
কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গিরাই এই হামলা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরই অনুমান করেছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। রবিবার আইএসের ওয়েবসাইট তা নিশ্চিত করেছে। পুলিশের গুলিতে নিহত ৩ জঙ্গির নাম–পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি ব্রিটিশ প্রশাসন। তবে তারা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যু্ক্ত ছিল বলে মানতে রাজি নয় গোয়েন্দারা।
ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই একক হামলা চালাতে সমর্থকদের উৎসাহ দিচ্ছিল আইএস। পবিত্র রমজান মাসেও যাতে রক্তপাত জারি থাকে সেজন্য বেশ কিছুদিন আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছিল তারা। সংগঠনের পত্রিকাতেও তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব না হলে, গাড়ি চাপা দিয়ে অথবা ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই জঙ্গিরা শনিবার হামলা চালিয়েছে।
নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাদের মতে, মার্কিন যৌথবাহিনীর হানায় সিরিয়া ও মসুলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে আইএস। কিন্তু দুনিয়া জুড়ে এখনও তাদের যথেষ্ট সংখ্যক সমর্থক রয়েছে। পশ্চিম দেশগুলিকে সেই বার্তা দিতেই একের পর এক নাশকতা ঘটাতে মদত দিচ্ছে তারা। এর আগে ২২ মে ম্যানচেস্টার অ্যারিনা স্টেডিয়ামে হামলারও দায় নিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই জঙ্গি সংগঠন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১