মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চাপে রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সম্প্রতি যক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়’তে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫শে অক্টোবর প্রকাশিত সেই লেখায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বেশকিছু শীর্ষ কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো নৃশংসতার জন্য দায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। খুব দ্রুত এটি করা উচিত বলে নিউ ইয়ক টাইমস মনে করছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে মিয়ানমার ছেড়েছে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের সম্পদে (রিসোর্সেস) ও ধৈর্য্যে টান পড়েছে। তারপরও আরো রোহিঙ্গা সে দেশে ঢুকছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে হান্নাহ বিচ'র রিপোর্টের প্রসঙ্গ এনে সম্পাদকীয়’তে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সব মানুষই দৃশ্যত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তা হলো তারা অবৈধ, সহিংস, দ্রুত বর্ধনশীল আগন্তুক। যদিও তারা রাখাইনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করে আসছে, তাও তাদের বিষয়ে সার্বিকভাবে এমনই ধারণা মিয়ানমারে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির রোহিঙ্গা সমস্যাটির শিকড় এতটাই গভীরে যে, দৃশ্যত শুধু কঠোর অবরোধ দিয়ে এই নিষ্পেষণ থামানোর সুযোগ খুবই কম।
সম্প্রতি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অং সান সুচি রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া বন্ধ করতে এবং রাখাইন প্রদেশে তাদের বসতিতে ফিরে যেতে স্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করতে যে আশ্বাস দিয়েছেন তাকে 'ভালো আইডিয়া' বলেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে এ বিষয়ে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে রাজি করানো এবং নিষ্পেষণ বন্ধের আশ্বাস শুধুমাত্র মিয়ানমারের জেনারেলরাই দিতে পারেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল