যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো পাঁচ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সাঈদ মুহাধর বলেছেন, ওই পাঁচ কন্টেইনারে শুধু কাগজজাতীয় আবর্জনা থাকার কথা ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বোতল, প্লাস্টিক বর্জ্য ও ডায়াপার ছিল। এটা ঠিক না। আমরা ময়লার ভাগাড় হতে চাই না। খবর ইন্দোনেশিয়া এক্সপাট'র।
এ ঘটনার পর জাকার্তা বন্দর ও সুমাত্রা দ্বীপের বাতাম শহরের অন্য সব কন্টেইনারও পরীক্ষা করে দেখছে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ বিভিন্ন দেশের বর্জ্য ফেরত পাঠানো শুরু করেছে, ওই তালিকায় সবশেষ যুক্ত হলো ইন্দোনেশিয়ার নাম।
এদিকে গত মাসে এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া শত শত টন আমদানি করার বর্জ্য ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এর আগে ফিলিপাইনও কানাডা থেকে আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিলে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করতো চীন। তবে পরিবেশ রক্ষার জন্য গত বছর এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তথ্যমতে, প্রতি বছর সারাবিশ্বে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর বেশিরভাগেরই জায়গা হয় মাটির নিচে বা সাগরে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল