মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে। এরই মধ্যে ইরানের সামরিক হামলার চালানোর নির্দেশ দিয়েও আক্রমণের আগ মুহূর্তে তা স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে ইরান বলেছে, তারাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। ফলে বর্তমানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে দুই দেশের মধ্যে।
যেভাবে মার্কিন ড্রোনটি ভূপাতিত করে ইরান
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ‘থার্ড খোরদাদ’ নামক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে ‘গ্লোবাল হক’ মডেলের অত্যাধুনিক মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে।
আইআরজিসি’র প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরান সময় বৃহস্পতিবার ভোররাতে আইআরজিসি দক্ষিণ ইরানের হরমুজগান প্রদেশের কুহমোবরক এলাকায় ‘গ্লোবাল হক’ মডেলের ওই মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভূপাতিত করে।
আইআরজিসি বলেছে, ২০১৪ সালে তাদের বহরে যুক্ত হওয়া ‘থার্ড খোরদাদ’ নামক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে মার্কিন ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। মধ্যম পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সাহায্য আকাশে মাঝারি উচ্চতায় থাকা যেকোনো আকাশযান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে শনাক্ত করে তা ধ্বংস করা সম্ভব। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা থেকে একইসময়ে চারটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। এছাড়া, এটি থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরের এবং ২৭ কিলোমিটার উচ্চতার লক্ষ্যবস্তুতে গুলি করা সম্ভব।
শত্রুর ট্যাকটিক্যাল ও কৌশলগত যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থা দিয়ে সহজেই শত্রুর অবস্থানে হামলা চালানো সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/কালাম