বাইরে তখন মিশরের পতাকা হাতে নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন প্রতিবাদীরা। তাদের দাবি, নিলামে না তুলে অবিলম্বে মিশরে ফেরানো হোক ফারাও তুতানখামেনের মুখের ওই মূর্তি। লন্ডনে ক্রিস্টিজ'র দপ্তরে অবশ্য তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই। নিলামে তিন হাজার বছরের পুরোনো ফারাও'র মূর্তি বিক্রি হয়ে গেল ৬০ লাখ ডলারে।
প্রত্যাশিত ভাবেই ক্রিস্টিজ ক্রেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে সেই মূর্তির ছবি গোপন কিছু নয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মিশরের ‘বয় কিং’ তুতানখামেনের দু’চোখে যেন অপার শান্তি। ঠোঁটে মহাজাগতিক আধ্যাত্মিকতার পরশ। সব মিলিয়ে নিছক ফারাও নন, যেন কোনো প্রশান্ত পুরুষের মুখাবয়ব।
এমন ‘সম্পদের’ নিলাম মেনে নিতে পারেননি লন্ডনে বসবাসকারী মিশরের বাসিন্দারা। তারা স্লোগান দেন, ‘পাচার হওয়া ঐতিহাসিক জিনিস নিলামে তোলা বন্ধ করুন।’ মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘এ দেশের যে সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সামগ্রী বেআইনি ভাবে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা করবে সরকার।’
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ