মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অকর্মা ও অযোগ্য আখ্যা দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ইমেইল কিভাবে ফাঁস হলো তা জানতে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেন্ডহ্যাট বলেছেন,এভাবে তথ্য চুরি করে তা প্রকাশ করা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এর পেছনে যে-ই থাকুক তার বিচার করা হবে। তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ডেইলি মেইলপত্রিকায় ফাঁস হওয়া ইমেইল বার্তাগুলোকে অসত্য বলে নি।
হোয়াইট হাউজও এখনো এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ব্রিটিশ ডেইলি মেইল পত্রিকা রোববার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডেরকের ওই ইমেইল বার্তাগুলো প্রকাশ করেছে। ফাঁস হওয়া ওইসব বার্তায় ডেরক ট্রাম্পের শাসনামলে হোয়াইট হাউজকে একেবারেই অকার্যকর ও বিভক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে অকর্মা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সত্যবাদিতার জন্য ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেছেন ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন মহল। খোদ ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড গাউক বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে সত্যবাদিতাটাই আশা করা উচিত।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকে ট্রাম্প নানা কারণে সমালোচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তাকে অনেকেই পাগল, ক্ষুদে গুন্ডা ও ধর্ষকসহ নানা শব্দের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/০৮ জুলাই, ২০১৯/আরাফাত