আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিকে এক হাত নিলেন ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার পরিচালক মোহাম্মাদ ইসলামি।
তিনি বলেছেন, আইএইএ ইরানের শত্রুদের বিশেষ করে ইসরায়েলের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে তেহরানবিরোধী অবস্থান নিচ্ছে।
আইএইএ’র নির্বাহী বোর্ডের বৈঠক গতকাল (সোমবার) ভিয়েনায় সংস্থাটির সদরদপ্তরে শুরু হয়েছে এবং এতে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন চার পশ্চিমা দেশ ইরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করবে বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ওই বৈঠক শুরুর আগে সোমবার রাফায়েল গ্রোসি এক বক্তব্যে দাবি করেন, ইরানের তিনটি অঘোষিত স্থানে ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এবং এ ব্যাপারে তেহরান কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
এ সম্পর্কে মোহাম্মাদ ইসলামি সোমবার আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরান এখন পর্যন্ত আইএইএ’র সব প্রশ্নের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সঠিক জবাব দিয়েছে। তবে এসব জবাবে সন্তুষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির সদিচ্ছার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বের পরমাণু শক্তির মাত্র তিন শতাংশ তার দেশে পরিচালিত হয় অথচ আইএইএ’র পরিদর্শন কার্যক্রমের শতকরা ২৫ ভাগ ইরানে সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল রয়েছে তবে এগুলো দিয়ে গৃহীত তথ্য ও ছবি আইএইএ’কে এখনই সরবরাহ করা হবে না। ভিয়েনা সংলাপের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের সঙ্গে কোনও চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হলেই কেবল এসব ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও আইএইএ’কে সরবরাহ করা হবে।
আন্তর্জাতিক এই পরমাণু সংস্থার চলমান বৈঠকে চার পশ্চিমা দেশের ইরানবিরোধী প্রস্তাব উত্থাপনের গুঞ্জন সম্পর্কে ইসলামি বলেন, প্রস্তাবটি উত্থাপন করলেও আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের সহযোগিতায় তেমন কোনও পরিবর্তন আসবে না। সংস্থাটিকে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করে নিজের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তথ্যসূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম