কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকাররা তাদের লেখার উজ্জীবক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাংলার পাখি, নদী, ফুল, প্রকৃতিকে। এদের মাধ্যমে তারা ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাদের মনের ভাব। এরকমই একটি পাখি শঙ্খচিল। এই শঙ্খচিলকে নিয়ে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ তার ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় লিখেছিলেন “আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়।, হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।” কবি তার কবিতার মধ্য দিয়ে শঙ্খচিল হয়ে আবারও এই বাংলায় ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। শঙ্খচিল বাংলাদেশে একটি অতি পরিচিত পাখি। ইংরেজি নাম Brahminy Kite, আর বৈজ্ঞানিক নাম Haliastur indus. এরা অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশের সব জায়গায় এবং অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাখিটি সুপরিচিত। নদী-নালা, জলাশয়ের আশপাশে এদের বেশি দেখা যায়। গত কয়েক দিন আগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিটিআরআই এলাকায় ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় শৌখিন ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে জীবনানন্দের সেই শঙ্খচিল। পাখি বিশারদরা জানান, শঙ্খের মতো সাদা এদের মাথা, তাই এদের নাম হয়েছে শঙ্খচিল। ডানা ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরি। ঘাড়, বুক, পেটের তলার পালকের ওপর মরিচা ধরা খাড়া ছোট রেখা থাকে। ঠোঁট ছোট, লেজ গোলাকার ডগাযুক্ত। শঙ্খচিলের দৈর্ঘ্য ৭৬-৮৪ সেমি। এরা মাছ এবং জলজ প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে। ছোট সাপ, হাঁস-মুরগির বাচ্চা এদের প্রিয় খাদ্য। দক্ষিণ এশিয়ায় শঙ্খচিলের প্রজনন ঋতু ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে, আর দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় এপ্রিল-জুনে এদের প্রজনন ঋতুর সময়। এরা বাসা বাঁধে উঁচু স্থানে। ছোট ছোট ডাল ও শুকনো পাতা দিয়ে তৈরি করে থাকে। তারা একই বাসা বছরের পর বছর ব্যবহার করে। শঙ্খচিল দুটো ডিম পাড়ে। ডিমে তা দেয় শুধু স্ত্রী পাখিটি। তবে মা-বাবা দুজনে মিলে বাচ্চা বড় করে। ২৬ থেকে ২৯ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। জলাশয়ের পাশে বড় বড় ঝাঁকে বাস করে। ডানা মেলে শূন্যে ভেসে থাকে। ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজম বলেন, বিটিআরআই সড়কের পাশে ছড়ার পাড়ে প্রচুর শঙ্খচিল দেখা যায়। এরা ছড়ার পানিতে নেমে গোসল করে। আর ছড়ার পাড়েই গাছের ওপর বাসা বেঁধেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, শঙ্খচিল আমাদের দেশে প্রচুর সংখ্যায় আছে এবং ভালো অবস্থাতেই আছে। তবে শহর এলাকা থেকে গ্রাম-গঞ্জের জলাশয়ে এদের বেশি দেখা যায়। এরা মরা পচা জিনিস খায়। আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অবশ্যই এদের টিকিয়ে রাখা দরকার।
শিরোনাম
- সংবেদনশীলদের জন্য আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
- অভিবাসনবিরোধী অভিযানে টালমাটাল লস অ্যাঞ্জেলেস
- প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন আজ
- দেশে ফিরেছেন আব্দুল হামিদ
- খুলনায় ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- ফরাসি ওপেনে শিরোপা ধরে রাখলেন আলকারাস
- ইসরায়েলের সংবেদনশীল গোপন নথি প্রকাশ করা হবে: ইরান
- গত বছরের চেয়ে চামড়ার দাম বেশি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সহ্য করবে না: দুলু
- শাহ আমানত বিমানবন্দরে করোনা নজরদারি জোরদার
- ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল
- উয়েফা নেশন্স লিগে জার্মানিকে হারিয়ে তৃতীয় ফ্রান্স
- ১১ জুন মুক্তি পেতে পারেন ইমরান খান
- গুমের শিকার ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে বিএনপি: আমিনুল হক
- সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা
- অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের নিরাপত্তায় থাকবে সোয়াট
- ‘ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করবে’
- মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক