অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত অক্টোবর থেকে সুপার শপে এবং নভেম্বর থেকে বাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর বার্তা দেয়। শুরু হয় অভিযান। তবে আট মাস পরও বাজারে রাজত্ব করছে পলিথিন। বন্ধ হয়নি কারখানাগুলো। বাজারে আসেনি বিকল্প পণ্য। এমন বাস্তবতা সামনে নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’। তবে ঈদের ছুটি থাকায় আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ২৩ বছর আগে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয় পলিথিন শপিং ব্যাগ। তবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রতি বছর বেড়েছে পলিথিনের বাজার। বেড়েছে কারখানা। বর্তমানে পলিথিন কারখানার সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি। নিষিদ্ধ হলেও এসব কারখানায় আছে বিদ্যুৎ-পানির লাইন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন পরিবেশ উপদেষ্টা। তবে আট মাসেও সুফল আসেনি। উল্টো পলিথিন কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হতে হয়েছে কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও সরকারের পলিথিনবিরোধী অভিযানের তথ্য বলছে, দেশে ৩ হাজারের মতো কারখানায় প্রতি মাসে উৎপাদন হচ্ছে ৭ হাজার টনের বেশি পলিথিন ব্যাগ। সেখানে অভিযানে আটক হচ্ছে গড়ে ৪০-৪৫ টন, যা ১ শতাংশেরও কম। বাকিটা পরিবেশেই ছড়িয়ে পড়ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, এখনো কাঁচাবাজার, মাছবাজার, মাংসের দোকান, মুদি দোকান- সর্বত্র পলিথিন ব্যাগেই দেওয়া হচ্ছে পণ্য। আগের মতোই পাঁচটি পণ্য কিনলে বিনা পয়সায় মিলছে পাঁচ-সাতটি পলিথিন ব্যাগ। মাছ-মাংস কিনলে নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হচ্ছে একাধিক পলিথিন। সুপারশপে কাগজের ব্যাগে মাছ-মাংস দিয়ে সেটা পাতলা পলি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। নিষিদ্ধ পণ্যটির পাইকারি দোকান বা উৎপাদনকারী কারখানাগুলোও আগের মতোই চলছে। তথ্য বলছে, শুধু মাটি বা পানি দূষণই নয়, দেশের নদ-নদী ও খালের মৃত্যু ডেকে আনছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক। অপচনশীল বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী, খাল, বিলের তলদেশ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খালের প্রবাহ, স্যুয়ারেজ লাইন। নদীর পাড়ের মাটি খুঁড়লে মিলছে ১৫-২০ বছরের পুরোনো পলিথিন। পলিথিনের কারণে একাধিকবার ড্রেজারের ব্লেড ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার খনন কার্যক্রম। একই কারণে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী, রূপসা ও সুরমা নদীও। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা নদী দিয়ে প্রতিদিন ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে মিশছে। খাদ্যচক্রে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা ক্যানসার, কিডনি বিকলসহ নানা প্রাণঘাতী রোগের জন্ম দিচ্ছে। ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় প্রতি কেজি লবণে গড়ে প্রায় ২ হাজার ৬৭৬টি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে।
শিরোনাম
- আগামী জুলাইয়ে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা : প্রধান উপদেষ্টা
- ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পিয়ুষ চাওলা
- করিডোর হলো চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘আলু-পেঁয়াজ-ডিম-চিনিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমেছে’
- উত্তরায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নতুনদের নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল ঘোষণা
- প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান
- হামজাদের নিয়ে দলকে সতর্ক করলেন সিঙ্গাপুর কোচ
- এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- আরিচা-পাটুরিয়ায় দিনভর ভোগান্তি, বেড়েছে যানবাহনের চাপ
- দীর্ঘ ২২ বছর পর ধুনট সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন
- ঈদে যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
- যেসব এলাকার ব্যাংক থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তোলা যাবে টাকা
- হাওরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ
- একজন পাইলটের আনন্দ-বেদনা
- ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট, ভোগান্তি চরমে
- বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে হালুয়াঘাটে পাঠশালার শিক্ষার্থীদের জন্য মেহেদী উৎসব
- রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল
- জেনে নিন রাজধানীতে ঈদ জামাত কখন কোথায়
বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ
এখনো বন্ধ হয়নি পলিথিন আগ্রাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করল চাদ
২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনা: নিয়ম না মেনে কালুরঘাট সেতুতে উঠেছিল ট্রেন, নিহত ৩
১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন