শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

আপত্তির মুখে গভর্নরের মেয়াদ বৃদ্ধির বিল পাস বয়স বাড়ল দুই বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে বিল পাস করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। গভর্নরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৭ করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২০’ নামে বিলটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে বিল প্রস্তাব উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এর আগে বুধবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। গতকাল বিলের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য জোরালোভাবে গভর্নরের বয়সসীমা বাড়ানোর বিরোধিতা করেন। জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, বিএনপির হারুনুর রশীদসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য এ বিলের বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একাধিক সংসদ সদস্য। পীর মিসবাহ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বলেন, ‘গভর্নরের বয়স বৃদ্ধি করে তাঁকে পুনরায় নিয়োগ দিয়ে লাভ কী? তিনি ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা আনতে পারেননি, ঋণখেলাপিদের ঋণ আদায় করতে পারেননি, অর্থ পাচার বন্ধ করতে পারেননি, এমনকি নিজেদের রিজার্ভ চুরির টাকাও ফিরিয়ে আনতে পারেননি।’

বিলের ওপর আলোচনা শেষে প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়। এখন এ বিল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কার্যকর হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে উন্নীত হলো। জনমত যাচাই-বাছাই নিয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের অর্থব্যবস্থার কেন্দ্রীয় স্তম্ভ। আমাদের অর্থব্যবস্থা কী পরিমাণে দাঁড়িয়েছে যারা আলোচনা করেছেন তারা জানেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারীদের আগে বয়স ছিল ৫৭ বছর। এখন সরকার পরিবর্তন করে ৫৯, ৬০ করেছে। বিচারপতিরা ৬৭ বছর পর্যন্ত উপভোগ করছেন। সুতরাং সময়ের পরিবর্তনে স্বাস্থ্য ভালো হচ্ছে, অনেক বেশি নতুন নিয়মকানুন আসছে। এর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে গিয়ে আইনকানুন পরিবর্তন করতে হয়। এটাই প্রথম আইন নয়। সময় সময় এসব বিষয় রিঅ্যাডজাস্ট করে চলতে হবে। এ বাস্তবতায় যে ধরনের গভর্নর প্রয়োজন, তার যে অভিজ্ঞতার দরকার, তার যে শিক্ষার দরকার, তার জন্য যে প্রজ্ঞার দরকার- এগুলো বিচার করেই আমরা এই ব্যক্তিকে, এটা কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, গভর্নর পোস্টের কথা বলেছি। এটা শুধু তাঁর (ফজলে কবির) জন্য নয়। এখন থেকে যারা গভর্নর হবেন, এ সংসদ পুনরায় পরিবর্তন না করা পর্যন্ত বয়সসীমা এই ৬৭ থাকবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর