করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২২৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ২৮৩ জন, আহত ৩১৯। যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরী জানান, সংগঠনটির দুর্ঘটনা গবেষণা ও মনিটরিং সেল এবং প্যাসেঞ্জার ভয়েস ডটনেট যৌথভাবে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে নৌপথে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ফেরিতে হুড়াহুড়িতে পদদলিত হয়ে পাঁচজন নিহত ও শতাধিক অসুস্থ হওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের মতো এ বছরও প্রথম রমজান থেকে বিধিনিষেধ ছিল সারা দেশে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহনের যান ও ব্যক্তিগত গাড়িতে ঈদযাত্রা অব্যাহত ছিল।
তবুও ঈদের আগে ও পরে সড়ক দুর্ঘটনা ছিল আগের তুলনায় বেশি। ৮ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ১৩ দিনে ২২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৩ জন নিহত ও ৩১৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। একই সময় নৌপথে বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মোট যানবাহনের ১৯টি বাস-মিনিবাস, ৬৭টি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ, ৩৪টি কার-মাইক্রো, ৪৫টি নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক, অটোরিকশা, ৯৩টি মোটরসাইকেল, ১৭টি অন্যান্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬৩টি গাড়িচাপায়, ৮০টি সংঘর্ঘে, ১৬টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, অন্যান্য কারণে ৬৫টি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।